বিশেষ প্রতিবেদক: কক্সবাজার শহরে মাদক কারবারী, অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসীদের মুর্তিমান আতংক এসআই আনছারুল হক। তিনি পুরো কক্সবাজার শহরে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে অনেক বড় বড় ইয়াবা কারবারিদের শায়েস্থা করেছেন। অস্ত্র সহ একাধিক সন্ত্রাসীকে আটক করেছে পুরষ্কারও পেয়েছেন তিনি।
গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল করে তার রয়েছে যতেষ্ট সুনাম।
সর্বশেষ গত ১৫ জুলাই রাতে শহরের নুনিয়াছড়া এলাকার ত্রাস তারিকুল ইসলাম কামরুলকে এলজি ও কার্তুজসহ আটক করেন। একই সময় ৪ মাদক ব্যবসায়ীকেও আটক করেন।
বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, মাদকের শহর কক্সবাজার। চাহিদা থাকায় এখানে গড়ে উঠেছে অনেক মাদক কারবারী। সেই সাথে সেবিদের সংখ্যাও বেড়েছে।
তবে সব চেয়ে বেশি মাদক ব্যবসায়ীদের বিস্তার ঘটে শহরের বৈদ্য ঘোনা, নুনিয়াছড়া, রাখাইন পাড়া, ঝাউতলা গাড়ির মাঠ, সমিতি পাড়া, পাহাড়তলি সমিতি বাজার, ইউছুলুর ঘোনা, বাসটার্মিনাল, দক্ষিন ডিককুল, লারপাড়া, আদর্শ গ্রাম, উপজেলার পেছনে,খরুলিয়াসহ আশপাশ এলাকা।
এলাকাবাসী এই এলাকার মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করলে ইয়াবা ডনরা মামলার ভয় দেখান এবং নানাভাবে ভয়- ভীতি দেখিয়ে হয়রানীও করে। এজন্য নিরবে সহ্য করে আসছে সাধারণ মানুষ।
মাদকের কবলে পড়ছে নতুন নতুন যুব সমাজ। মাদকে আসক্ত যুবক এবং সর্বস্তরের ছাত্র-ছাত্রী সর্বস্বান্ত হচ্ছে। অভিভাবকরা অর্থ জোগান না দিলে অভিভাবকদের উপর চড়াও হয় সন্তানরা। নেশার অর্থ না থাকলে চুরি ও ছিনতাইয়ের পথ বেছে নেয় তারা। এ ছাড়া নেশা আসক্তরা নিজ বাড়িতে বাবা-মায়ের বাক্স ভেঙে টাকা নিয়ে যায়। বাবা-মায়ের ভয়ে কিছু বলতে পারে না। এসব মাদকাসক্তদের বিরুদ্ধে ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হার্ড লাইনে চলে যান পুলিশ। তবে মাদক ব্যবসার অভিযান থামাতে অনেক চক্র বিভিন্ন ভাবে চেষ্টাও করার অভিযোগ রয়েছে। সময় সময় মাদক কারবারিরা পুলিশের বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্র চালালেও পুলিশের অভিয়ান অব্যাহত থাকেন।
সাম্প্রতিক সময়ে শহর ও শহরতলিসহ সদর থানাধীন বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বড় বড় ইয়াবা কারবারী আটক করে আদালতে সোর্পদ করেছেন, উদ্ধার করেছেন ইয়াবাও।
অনেকের অভিযোগ, মাদকাসক্ত সন্তানদের ভয়ে অভিভাবকরা আতঙ্কিত এবং অর্থের অভাবে নেশার অর্থ জোগাতে চলছে ছিনতাই ও অপরাধমূলক কার্যক্রম। সরকার মাদকের হাত থেকে যুবসমাজকে যখন রক্ষা করতে সারা দেশে চালাচ্ছে মাদকবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান। সেই ধারা কক্সবাজার সদর মডেল থানায়ও চলে।
সুত্রে জানা যায়, কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফরিদ উদ্দিন সঠিক দিক নির্দেশনায় থানা অন্যান্য পুলিশ অফিসারদের মতো এসআই আনছারুল হক সুজনও ইয়াবা, অস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধী গ্রেফতার সহ ওয়ারেন্ট তামিল করে সুনাম কুড়িয়েছেন।
চলতি বছর ২৯ এপ্রিল কক্সবাজারের কলাতলি বাইপাস সড়কের উত্তরণ আবাসিক এলাকার গেইট থেকে ১টি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, ২ রাউন্ড কার্তুজ ও ২’শ পিছ ইয়াবাসহ সন্ত্রাসী সাহাব উদ্দিনকে গ্রেফতার করে আলচনায় চলে আসেন এসআই আনছারুল হক সুজন। ধৃত সাহাব উদ্দিন কক্সবাজার শহরের বৈদ্যঘোনা জাদিরাম পাহাড়স্হ আব্দুর রহমানের ছেলে। এধরনের আরো অসংখ্য অপরাধীকে অস্ত্রসহ আটক করেন। বিভিন্ন সময় অভিযানে তিনি বহু ইয়াবা কারবারিকে আটক করে আদালতে সোর্পদ করেছেন।
গত বছর কক্সবাজার সদর মডেল থানার চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা এসআই আনছারুল হক সুজন শ্রেষ্ট এসআই নির্বাচিত হন। ২৭ নভেম্বর সকাল ১১ টায় জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় তাঁর হাতে সম্মাননা তুলে দেন জেলা পুলিশ সুপার সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা তার হাতে অর্থ পুরস্কার ও সম্মাননা তুলে দেন।
শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী, মাদক ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারকারী অফিসার এবং আইনশৃংখলা পরিস্থিতি সহ সার্বিক বিষযে বিবেচনা করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার সাব- ইন্সপেক্টর আনছারুল হক সুজনকে শ্রেষ্ঠ সাব- ইন্সপেক্টর হিসেবে র্নিবাচিত করে সম্মাননা ও অর্থ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
সর্বশেষ গত ১৫ জুলাই রাতে ডায়বেটিকস হাসপাতালের গেইটের সামনে থেকে শহরের ত্রাস নুনিয়াছড়ার রাজিয়া মেম্বারের ছেলে তারিকুল ইসলাম কামরুলকে ২ রাউন্ড কার্তুজসহ দেশীয় তৈরি অস্ত্র সহ আটক করেন। একই সময় ৫ মাদক ব্যবসায়ীকেও আটক করা হয়। এছাড়াও বৈদ্য ঘোনার ইয়াবা ডন সুফিয়া, নুনিয়াছড়ার জাহানারা, উত্তর নুনিয়াছড়ার সাজেদা,লালপাড়ার ইয়াবা গডফাদার লাল মোহাম্মদের ছেলে বশর প্রকাশ বশিরসহ আরো বড় বড় মাদক কারবারী গ্রেফতার করেন।
থানা সুত্রে জানা গেছে, মাদকের বিরুদ্ধে অাপসহীন পুলিশ কর্মকর্তা আনছারুল হক সুজন মাদক ব্যবসায়ীদেরকে মাদকসহ আটকের ঘটনায় গত জুন মাসে ১২, চলতি জুলাই মাসে ১০, মে মাসে ১৬ মাদক মামলা দায়ের করেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।