কক্সবাজারসময় ডেস্কঃ
রোমেনা অাক্তার একজন উদীয়মান সমাজসেবিকা। কক্সবাজার সিটি কলেজের প্রভাষক, কক্সবাজার বেতারশিল্পী। আসন্ন সংরক্ষিত নারী অাসনে কক্সবাজার অাসনের একজন এমপি প্রার্থী। রোমেনা অাক্তার কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের নন্দাখালী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৮৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। রোমেনা আক্তার সবসমই নিজেকে মানব সেবায় নিয়োজিত রাখতে পছন্দ করতেন। ছোটবেলা থেকেই তাঁর গরীব দুঃখি মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং সমাজ সেবামুলক কাজের প্রতি আগ্রহ। তিনি একজন শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক ও জনদরদী তিনি এলাকার শিক্ষা, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও উন্নয়ন করে এলাকায় একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চান। তাঁর ইচ্ছে সম্পর্কে বলেন, অধিকার বঞ্চিত দুস্থ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আজীবন কাজ করে যাওয়া। এলাকা ও এলাকাবাসীর উন্নয়নে কাজ করে যাওয়া এবং জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখা। তিনি ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে শ্রদ্ধা ও ভালোবেসে জনগণের প্রতি দরদ, ভালোবাসা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করতে চান। তাঁর বাবা অালহাজ্ব রশীদ অাহমদ পেশায় একজন ব্যবসায়ী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সৎ ও আদর্শবান রাজনীতিবিদ, তাছাড়া তিনি কক্সবাজার জেলা কৃষকলীগের সম্মানিত সভাপতি। বাবার উৎসাহ ও অনুপ্রেরণায় তিনি সেবামূলক কাজের প্রতি আরো বেশি উৎসাহিত হন। তিনি বাবার আদর্শ, উৎসাহ ও অনুপ্রেরণায় এক জন দক্ষ জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে গরীব দুঃখি, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে ও কক্সবাজার জেলার উন্নয়ন করতে চান। তিনি এলাকার উন্নয়নে একজন নিবেদিত প্রাণ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। আর সে প্রতাশাকে বাস্তবায়নের জন্যই তাঁর এ প্রার্থী হওয়া। তিনি বলেন, প্রতিটি সেক্টরে নারীরা অগ্রণী ভুমিকা পালন করছে, কিন্তু এখনো নারীরা অনেকটা অবহেলিত, তাই তাদেরকে সচেতন করে গড়ে তোলা। একজন নারী হিসেবে অন্য একজন নারীকে সচেতন করা তার কর্তব্য বলে মনে করেন। তাই অবহেলিত নারীদের পাশে থেকে এবং তাদেরকে সব বিষয়ে সাহায্য সহযোগিতা করতে চান। এ মন মানসিকতা নিয়েই তাঁর নির্বাচন করা বলে তিনি জানান। তিনি কেন প্রার্থী হলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিন বলেন, আমি দেখেছি আমার বাবা কিভাবে দরদ, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা দিয়ে মানুষকে ভালোবাসতেন, সেবা করতেন। তাঁর কাছ থেকেই মূলত আমি এ কাজে উদ্বুদ্ধ হয়েছি। তাছাড়া মানুষ মানুষের জন্য। আর জনসেবার মধ্যে একধরনের আত্মতৃপ্তি আছে এবং মানুষ মরনশীল। মৃত্যুর আগে কিছু ভালো কাজের স্মৃতি রেখে যেতে চাই। সে জন্যই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জনগণের সেবা করে যেতে চাই।
আপনি নির্বাচিত হলে এলাকাবাসী বা জনগণের জন্য কি ধরণের কাজ করবেন জানতে চাইলে তিন বলেন, যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্বাচিত করেন তাহলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যে সকল কাজ করো তা হলো, শিশু, যুব, কিশোর, মহিলা, বয়স্ক, দুঃস্থ, প্রতিবন্ধীদের কল্যাণসহ পিছিয়েপরা জনগোষ্ঠীকে, গণশিক্ষা স্বাস্থ্য সেবা সর্ম্পকে সচেতন করে তাদের উন্নয়নে কাজ করবো।
বেকার, অসহায় নারীদের মৎস, পশু, পোলট্রি, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান এবং এগুলো বাস্তবায়নের সহযোগিতায় অগ্রণী ভুমিকা পালন করবো।
শিক্ষার হারকে বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন ও শিশুদের স্কুলে পাঠানোর ব্যাবস্থা করবো। বিশেষ করে নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধি করণের ব্যবস্থা করবো।
নারী নির্যাতন বা দাম্পত্য কলহ রোধে সর্বাত্নক ভুমিকা পালন করবো। বাল্যবিয়ে, যৌতুক নারী নির্যাতন এর কুফল সর্ম্পকে সচেতন করে বাল্যবিয়ে রোধের ব্যবস্থা করবো।
পরিবেশ উন্নয়নে ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে বনায়ন, নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করনে ওয়াটার এন্ড সেনিটেশন, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বাস্তবায়ন এবং সামাজিক ভারসাম্য রক্ষার্থে ফলোজ, বনজ, নার্সারী বৃক্ষ রোপনে উদ্বুদ্ধ করনের কাজ করে যাব।
এছাড়া ওয়ার্ড আওতাধীন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেমন এলাকার স্কুল- কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির ও রাস্তা-ঘাট বিশেষ করে অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির জন্য আন্তরিক ভাবে কাজ করে যাব। এলাকার রাস্তা-ঘাট উন্নয়ন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করন। পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়নে বৃক্ষ রোপন করা। ইউনিয়নের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর উন্নয়নে কাজ করবো। আর্সেনিক সর্ম্পকে জনগণকে সচেতন করে স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টি করবো। মাদকের কুফল সর্ম্পকে এলাকার জনগণকে সচেতন করে তা রোধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এলাকাবাসীর কাছে দাবি জানান যে, তার এ ভালো কাজে এলাকাবাসী ও জনগণ তাঁর পাশে থেকে উৎসাহ, অনুপ্রেরণা, পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। তার ভালো কাজে উৎসাহ দিতে জনগণ তাকে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে পেতে চান বলে জানান।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।