২১ অক্টোবর, ২০২৫ | ৫ কার্তিক, ১৪৩২ | ২৮ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

কক্সবাজার জেলা পরিষদ চলতি বছর ৩৫০ টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে

Coxs Mostak-00
কক্সবাজার জেলা পরিষদ চলতি আর্থিক বছরে ৩৫০ টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করছে। এসব প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এ ছাড়াও গত দুই আর্থিক বছরে ১২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হয়েছে আরো ৯২৮ টি উন্নয়ন প্রকল্প। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ব্রীজ, কালভার্ট, মসজিদ , মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্টান, কবরস্থান ও রাস্তা-ঘাট। চলতি বছর জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্টান, অসহায়, দুঃস্থ ও বিধবাদের মাঝে ৬০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। আগের দুই বছরে দেওয়া হয় এক কোটি ৭ লাখ ৯২ হাজার টাকা। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের এ বছর দেয়া হয়েছ ৬ লাখ ২০ হাজার টাকার অনুদান এবং এর আগের দুই বছরে দেওয়া হয়েছে ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
গতকাল সোমবার কক্সবাজার জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে পরিষদের প্রশাসক ও সাবেক এমপি মোসতাক আহমদ চৌধুরী এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য প্রকাশ করেছেন। মোসতাক আহমদ চৌধুরী প্রসঙ্গক্রমে জানান-বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন তাঁর মরহুম দাদা খান বাহাদুর মোজাফ্ফর আহমদ চৌধুরী। আর পরবর্তী ১০০ বছরের কাছাকাছি সময়ে তিনি কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ পান।
সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসক জানান, তিনি ২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর যোগদানের পর থেকে কক্সবাজারে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং আরো কিছু বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এগুলোর অন্যতম হচ্ছে কক্সবাজার জেলা শহরের দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার, জেলা সীমানা গেইট, সৈকতের লাবণী পয়েন্টে পর্যটকদের বিনোদন পার্ক নির্মাণ, সৈকত উন্মুক্ত মঞ্চ, চেঞ্জিং রুম নির্মাণ, টেকনাফে মাথিনের ক’প সংষ্কার ও নির্মাণ, ২ টি কলেজ ও ৩টি হাই স্কুলের শহীদ মিনার নির্মাণ, উখিয়া ও টেকনাফে সুপার মার্কেট নির্মাণ, কক্সবাজার অডিটরিয়াম কাম পাবলিক লাইব্রেরী নির্মাণ সহ ইত্যাদি।
এগুলো ছাড়াও কক্সবাজার সৈকতের লাবনী পয়েন্টে ১০০ ফুট উচ্চতার বঙ্গবন্ধু ভাষ্কর্য  ও সমুদ্র সৈকত ভাষ্কর্য নির্মাণ, প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ডাক বাংলো নির্মাণ, জাতীয় চার নেতার ভাষ্কর্য নির্মাণ, ঈদগাওতে বঙ্গবন্ধু ষ্টেডিয়াম স্থাপন, টেকনাফ, মহেশখালী ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে বহুতল বাণিজ্যিক মার্কেট নির্মাণ এবং খুরুশকুলে একটি টেকনিক্যাল কলেজ স্থাপন করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রকৌশলী সোহেল রানাও উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি স্থানীয় কতিপয় সংবাদপত্রে জেলা পরিষদের অভ্যন্তরে টেন্ডার কেলেংকারি সংক্রান্ত প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে জেলা পরিষদ প্রশাসক মোসতাক আহমদ চৌধুরী বলেন-কতিপয় উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যাপারে স্ব স্ব উপজেলা চেয়ারম্যানগনের পরামর্শে স্থগিত রাখা হয়। এগুলো পূণরায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে টেন্ডার দেয়া হবে। তাই কোন দুর্নীতির আশ্রয় নেয়ার প্রশ্নই উঠে না। জেলা পরিষদ স্বশাষিত একটি প্রতিষ্টান এবং দেশের প্রচলিত আইনের কাঠামো ও বিধিবদ্ধ নিয়ম-কানুন নিয়ে চালানো হয়ে থাকে। এখানে যেমন ইচ্ছা তেমন কাজ করার সুযোগ নেই। যা করা হয় সবই স্বচ্ছতার মাধ্যমে করা হয়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।