
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী *আনোয়ার হোসাইন*
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের কক্সবাজার জেলা সম্মেলন। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে অর্ধ শতাধিক প্রার্থী দৌড়ের মধ্যে আছেন। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে কক্সবাজারের তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন প্রার্থী হলেন ছত্রনেতা আনোয়ার হোসাইন।
আনোয়ার হোসাইন উখিয়া উপজেলার অন্তর্গত ফারিরবিল আলিম মাদরাসা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, পালংখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
তার পিতা আওয়ামীলীগের একজন নিবেদিত কর্মী। তার বড় ভাই ইব্রাহিম আজাদ পালংখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।তার মেজ ভাই আলী আহমদ কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আনোয়ার ২০০৫ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। স্কুল জীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। আওয়ামী লীগ মতাদর্শের পরিবারে জন্ম নেয়ায় ছোটবেলাতেই ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন। জামাত শিবিরের শত চক্রান্তের পরও পিছু হটেননি ছাত্রনেতা আনোয়ার হোসাইন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি করে যাবেন বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন তিনি।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ★শোভন★ এর সাথে
জানতে চাইলে আনোয়ার হোসাইন জানান, জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সভাপতি- সম্পাদক প্রার্থীদের মধ্যে কক্সবাজারের তৃণমূল ছাত্রলীগ থেকে উঠা আসা প্রার্থী আমি। যদি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই তাহলে ছাত্রলীগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করব। কারণ ছোটবেলা থেকেই আমি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের রাজনীতি করে এসেছেন। বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডব, যুদ্ধাপরাধীধের বিচার ইস্যুতে রাজপথে সামনের সারিতে থেকে আন্দোলনে ছিলাম। ভবিষ্যতেও থাকব।

★মেয়র আজম নাসির★ এর আশির্বাদ প্রদানকালে আনোয়ার হোসাইন
তিনি আরো বলেন, আমি নেত্রীর দেওয়া পাঁচটি নির্দেশনা মনে প্রাণে বুকে ধারন করেছি। যেই নির্দেশনা গুলো নিচে তুলে ধরলাম-
এক. ছাত্র রাজনীতির শুরু থেকেই ছাত্রলীগ করতে হবে। আগে অন্য ছাত্র-সংগঠন করতো এখন ছাত্রলীগ করে, এমন কাউকে শীর্ষ নেতৃত্বের জন্য বিবেচনা করা হবে না।
দুই. পারিবারিক পরিচয় নিশ্চিত হতে হবে। ছাত্রলীগ নেতার বাবা, মা, ভাই, বোন কি ধরনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তা জানতে হবে। পরিবারের কেউ বিএনপি-জামাত বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকলে, ঐ ছাত্রলীগ কর্মী নেতৃত্বের জন্য বিবেচিত হবে না।
তিন. নেতৃত্বের জন্য বিবেচিত হতে হলে ছাত্রলীগ কর্মীকে নিষ্কলুষ থাকতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসের কোনো মামলা কিংবা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা যাবে না।
চার. ছাত্রলীগ নেতা হতে চাইলে তাকে শুধুই ছাত্র হতে হবে। ছাত্র আবার ব্যবসা করে এমন ছাত্রলীগ কর্মী নেতা নির্বাচনে অযোগ্য বিবেচিত হবে। মেধাবী ছাত্ররা অগ্রাধিকার পাবে।
পাঁচ. কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিল এমন ছাত্রলীগ কর্মী নেতৃত্বের জন্য বিবেচিত হবে না।
উল্লেখ্য, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের এই মেধাবী ছাত্র, জামাত-শিবিরের আতঙ্ক মেধাবী ও সাহসী ছাত্রনেতা কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোছাইনকে কক্সবাজার জেলার ছাত্রসমাজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দেখতে চাই।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।