২৭ জুলাই, ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ | ২০ মহর্‌রম, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  কলেজছাত্র মুরাদ হত্যা মামলার আসামি রহিম কারাগারে   ●  আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির প্রতিবাদে কক্সবাজার ছাত্রলীগের সমাবেশ   ●  স্বেচ্ছাসেবী কাজে বিশেষ অবদানের জন্য হাসিঘর ফাউন্ডেশনকে সম্মাননা প্রদান    ●  চতুর্থবারের মতো শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট নির্বাচিত হলেন রোবায়েত   ●  সেন্টমার্টিনে ২ বিজিপি সদস্যসহ ৩৩ রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ২   ●  উখিয়ায় ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি; কাঁচা ঘরবাড়ি, গ্রামীণ সড়ক লন্ডভন্ড   ●  উখিয়ায় কৃষি বিভাগের প্রণোদনা পেলেন ১৮০০ কৃষক /কৃষাণী   ●  আরসার জোন ও কিলিংগ্রুপ কমান্ডার আটক ৩   ●  পটিয়া প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটি গঠিত

কক্সবাজারে তামাক প্রক্রিয়াকরণে বাড়ছে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা

pic cox (3) 30.3.15.psd

রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে তামাক শিল্পকে ক্ষতিকর ও ঝুঁকিপূর্ণ সেক্টর হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও কলক্সবাজার জেলার চকরিয়া, রামু ও পাশ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চিত্র ভিন্ন। এখানে অধিকাংশই দরিদ্র পরিবারের শিশু ও নারীরা তামাক শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। তারা স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজারের চকরিয়া, রামু ও পাশ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় বসবাসকারী জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ১০ লাখ। তাদের এক-তৃতীয়াংশ শিশু-কিশোর। যার মধ্যে তামাক উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে শিশু ও নারী শ্রম যুক্ত। রামুর গর্জনিয়ার কৃষক আলম জানান, প্রতি বছর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এ অঞ্চলের অধিকাংশ জমিতে তামাক চাষ হয়। তামাক চাষে ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানিসহ দেশী কোম্পানির পক্ষ থেকে নানাভাবে কৃষকদের উৎসাহিত করা হয়। ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরাও উৎসাহিত হয়ে চাষে ঝুঁকছেন। চাষের শুরু থেকে উৎপাদন, প্রক্রিয়া ও বাজারজাতকরণ করতে সর্বস্তরে মোট শ্রমশক্তির সিংহভাগই জোগান আসে প্রান্তিক পরিবারের নারী ও শিশু সদস্যদের মধ্য থেকে। ফলে ওইসব নারী ও শিশুর মধ্যে অনেক রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কক্সবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক নুরুল আকতার জানান, তামাক চাষ ও শিল্পে অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিশু শ্রমের ব্যবহার ও তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি মাথায় রেখে এ অঞ্চলের জমিতে খাদ্যশস্যের উৎপাদন বাড়াতে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তারা নানাভাবে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। তবে আগের চেয়ে এ বছর তামাক চাষ কিছুটা কমে এসেছে। গত বছর ১০ হাজার একর জমিতে তামাক চাষ হয়েছিল, চলতি বছর এসব কৃষি জমিতে তামাক চাষ অনেকটা কম হচ্ছে। কক্সবাজারের নবাগত সিভিল সার্জন ডা: মো:কমর উদ্দিন জানান, তামাক উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে এসব অঞ্চলের শিশু ও নারীরা যুক্ত। ফলে তারা যক্ষ্মা, শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগসহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। সবাই স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। এ বিষয়ে তামাক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোং (বিএটি) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।