২ অক্টোবর, ২০২৩ | ১৭ আশ্বিন, ১৪৩০ | ১৬ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  সদর মডেল থানার নবাগত ওসি’র সাথে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ   ●  কক্সবাজারে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে চ্যানেল আই এর বর্ষপূর্তি উদযাপন   ●  ফেভারিট চকরিয়া কে হারিয়ে মহেশখালী চ্যাম্পিয়ন   ●  মহেশখালী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে ভিটেমাটি দিয়েও চাকুরির প্রতিশ্রুতি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি   ●  উখিয়ার হলদিয়ায় ছাত্রলীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম সিকদারের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন পালিত   ●  সেন্টমার্টিনের উপর পর্যটন নির্ভরতা কমানোর পরামর্শ দিলেন এমপি আশেক   ●  কক্সবাজারে ডিএনসির অভিযান ইয়াবাসহ একজন গ্রেফতার, প্রাইভেটকার জব্দ   ●  বিট কর্মকর্তা জহিরুলের সফল অস্ত্রোপচার, এখনো জ্ঞান ফিরেনি   ●  রামুতে দখলবাজদের হামলার ঘটনায় মামলা, শঙ্কামুক্ত নয় জহিরুল   ●  সাবেক এমপি এড. খালেকুজ্জামানের ২৩ তম শাহাদত বার্ষিকী আজ

কক্সবাজারে ‘জয় কারাতে একাডেমী’ ‘অদ্রিতা পালদের বেড়েছে আত্মবিশ্বাস ও শক্তি’

কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রের্ণীর ছাত্রী অদ্রিতা পাল। কলেজের পড়াশোনার পাশাপাশি ভর্তি হয়েছে ‘জয় কারাতে একাডেমী। এই ক্লাবে প্রশিক্ষণ হয় সাপ্তাহে চারদিন। এই ক্লাবে ভর্তির পর থেকে ধীরে ধীরে নিজের মধ্যে লক্ষ্য করছে অনেক ধরনের পরিবর্তন। বেড়েছে আত্মবিশ্বাস ও শক্তি।
অদ্রিতা পাল বলেন, সে আগের মতো দ্রুত ক্লান্ত বা হাঁপিয়ে যাই না। নিজের রাগের ওপর এক ধরনের নিয়ন্ত্রণ তৈরি হয়েছে। এখন আর একা চলতে ভয় লাগে না। যতটুকু প্রশিক্ষণ পেয়েছি তা প্রয়োগ করে নিজেকে রক্ষা করতে পারবো। এর সঙ্গে শারীরিক ফিটনেস ও আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।
জয় কারাতে একাডেমী কর্তৃপক্ষ  বলছেন, সবাইকে আত্মবিশ্বাসী ও নিজেদের নিরাপত্তা কৌশল শেখাতে এই কারাতে শিখানো হচ্ছে। পাশাপাশি এই কারাতের মাধ্যমে যেমন শারীরিক ব্যায়াম হচ্ছে  মাদক ও মোবাইল আসক্তি থেকে দূরে রাখছে।
‘জয় কারাতে একাডেমী প্রশিক্ষক সেনসি জয় দেব পাল বলেন, আমাদের ক্লাবে ৮০ জন ছাত্র-ছাত্রী আছেন। এখানে অনেকেই বয়সে ছোট। বর্তমানে খেলার মাঠ না থাকায় ও নিজেদের আত্ম রক্ষায়  এই খেলায় যুক্ত হচ্ছেন অনেকেই। কারাতের মাধ্যমে মেয়েরা ইভটিজিং ও যেকোনো বিপদ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, মেয়েদের আত্মবিশ্বাসী ও নিজেদের নিরাপত্তা কৌশল শেখাতে এই কারাতে কাজ করবে। এই কারাতের দিকে আমরা মনোযোগ দিচ্ছি। আমরা ইতিমধ্যে এটার সাফল্য পেয়েছি । আমাদের ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে সবোচ্চ সহোযোগিতা করবো। পাশাপাশি এই কারাতে মাদক থেকে দূর ও আত্মরক্ষায় কাজ করে ।
অভিভাবকরা বলছেন, নিজেদের মেয়েদের ইভটিজিং ও যেকোনো বিপদ থেকে রক্ষা করতে এসব ক্লাবে ভর্তি করিয়েছেন।
শারমিন নামক এক অভিভাবক বলেন, তার মেয়ে আগে স্কুলে যেতে ভয় পেতো। এবং স্কুল থেকে পেরার সময় ইভটিজিংয়ের শিকার হতো। এখন কারাতে ভর্তি হাওয়ার পর থেকে সে অনেক আত্মবিশ্বাস হয়েছে। এখন সে নিজেকে নিজেই সেভ করতে পারে। এজন্য আমি একজন মেয়ের অভিভাবক হয়ে বলবো  সবাই যেন এখানে অংশ নেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।