৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজারে রেল : শুরুতেই ইজিবাইক চালকদের দৌরাত্ম্য ২০ টাকা ভাড়া রাতা-রাতি ৫০ টাকা!   ●  মাদক কারবারিদের হুমকির আতঙ্কে ইউপি সদস্য কামালের সংবাদ সম্মেলন   ●  সালাহউদ্দিন সিআইপি ও এমপি জাফরকে আদালতে তলব   ●  কক্সবাজার-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন এমপি জাফর আলম   ●  ‘দিনে আত্মগোপনে, রাতে অস্ত্রের মহড়া বালু-পাহাড় খেকো তাহেরের!   ●  বিপুল ভোটে আবারও এমপি নির্বাচিত হয়ে কক্সবাজার-১ আসন শেখ হাসিনাকে উপহার দেওয়া হবে   ●  আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী-সমর্থকদের ব্যাপক বিক্ষোভ, স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াইয়ের ঘোষণা   ●  এইচএসসিতে শতভাগ পাশে আবারো জেলায় শ্রেষ্ঠ রামু ক্যান্টনমেন্ট কলেজ   ●  রামুতে বালু-পাহাড় খেকো আবু তাহেরের ডেরায় যৌথ অভিযান   ●  টেকনাফে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে ৫৮ রোহিঙ্গা উদ্ধার : ৪ পাচারকারী আটক

কক্সবাজারে উচ্ছেদ করে সরকারি পাহাড় দখলমুক্ত

নিজস্ব প্রতিনিধি:
সরকারি ৫ একরের বিশাল পাহাড় কেটে প্লট আকারে বিক্রি করে অবৈধ বসতি নির্মাণের স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। এসময় পাহাড় কেটে নির্মাণাধীন দুটি বসতি ভেঙে দেয়া হয়। পাহাড় কাটা, গাছ কাটা এবং সরকারি পাহাড় বিক্রির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া। গতকাল বুধবার বিকালে কক্সবাজার শহরের বাস টার্মিনালের পশ্চিমে পশ্চিম লারপাড়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়ার নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিদর্শক মাহবুবুল আলম, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের কক্সবাজার রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর রঞ্জন সাহা, পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এনভায়রনমেন্ট পিপল এর প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে উক্ত এলাকায় গত এক মাস ধরে আনুমানিক ১০০ ফুট উচ্চতার প্রায় ৫ একরের সরকারি পাহাড় কেটে খন্ড খন্ড করে বিক্রি, গর্জনসহ ছোট-বড় ৩ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নেয়ার ঘটনা ঘটে। সেখানে গর্জন গাছ কেটে বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছিল। একই সাথে পাহাড় কেটে নেয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে দুটি বিশাল আকৃতির শতবর্ষী গর্জন গাছ (মাদার ট্রি)। যে কোন মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে এ অঞ্চলে গভীর বনের স্বাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকা ‘মাদার ট্রি’ দুটি। সরকারি পাহাড় কেটে ইতিমধ্যেই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বাস টার্মিনাল সংলগ্ন নাপাঞ্জাপাড়া এলাকার বদিউর রহমানের পুত্র সেলিম ও আজিজুল হকের পুত্র মিজান। বিষয়টি গতকাল সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও গণমাধ্যমের নজরে আনে পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এনভায়রনমেন্ট পিপল। সংগঠনটির প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ বলেন, ‘যেভাবে পাহাড় কাটা হয়েছে যেকোনো মুহূর্তে পাহাড় ও মাদার ট্রি ধসে পড়তে পারে। প্রশাসনের তাৎক্ষণিক অভিযানে পাহাড় কাটা কমে আসতে পারে, এটি ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। পাহাড় ও প্রাকৃতিক গর্জন গাছ রক্ষায় কর্তিত স্থানে বনায়ন করতে হবে।’
অভিযান প্রসঙ্গে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, ‘যেহারে পাহাড় ও গাছ কাটা হয়েছে তা ভয়াবহ। অভিযানে পাহাড় কেটে নির্মাণাধীন দুটি অবৈধ ঘর ভেঙে দেয়া হয়েছে। সেখানে আবারও অভিযান চালানো হবে। এছাড়া জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।