২৪ অক্টোবর, ২০২৫ | ৮ কার্তিক, ১৪৩২ | ১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

কক্সবাজারের বিশাল জনসভায় ‘ইয়াবার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি’ প্রধানমন্ত্রীর

কক্সবাজারকে ইয়াবা মুক্ত করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, কক্সবাজারের একটি বদনাম রয়েছে। এখান থেকে ইয়াবা সরবরাহ করা হয়। যে কোনোভাবে ইয়াবা বন্ধ করতে হবে। ইয়াবা সরবরাহের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগ  আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় মাদকের ভয়াবহতা উল্লেখ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদক এক একটি পরিবারকে ধ্বংস করে। জীবনের চরম ক্ষতি করে। তাই প্রতিটি সন্তানকে মাদক মুক্ত রাখতে হবে। একই সঙ্গে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস রুখে দিতে হবে। কোনোভাবে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস চলতে পারে না।

কক্সবাজারে পর্যটন উন্নয়নের বড় বড় মেগা উন্নয়ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক পর্যটননগরী হিসাবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তার সরকার এর লক্ষে কাজ শুরু করছে। কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়ক উদ্বোধন, কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে অবতরণ, কক্সবাজারে বিশ্বের তৃতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম স্থাপন, মেডিক্যাল কলেজসহ ধারাবাহিক উন্নয়ন কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক মানে সহায়ক হবে।

তিনি কক্সবাজারের মহেশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্র, টেকনাফে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন, নাফ ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের কাজ, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে চার লাইনে উন্নয়নের কাজ শুরু করা হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে মানুষ না খেয়ে গৃহহারা থাকবে না এমন স্বপ্ন দেখতেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু। তাই তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জন্য ঘর এবং তাদের জীবন জীবিকার ব্যবস্থা করতে সরকার বদ্ধ পরিকর।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে কক্সবাজারে নিহত ৬ নেতা-কর্মীর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশে সন্ত্রাস ও অরাজকতার সৃষ্টি করে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও মামলা দিয়ে হয়রানি করে।

সোনাদিয়ায় সমুদ্রবন্দর স্থাপনের পরিকল্পনা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে মহেশখালী দ্বীপকে ডিজিটাল দ্বীপ ঘোষণা করেছি। কক্সবাজারে আমরা সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট করেছি। এর মাধ্যমে সমুদ্রের জাহাজ, মৎস্য প্রাণী সম্পর্কে ধারণা পাবো।

তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকার সময় গঙ্গার পানির ব্যাপারে কিছুই করতে পারেনি। তিনি (খালেদা জিয়া) ক্ষমতায় না থাকলে ভারতবিরোধী হয়ে যায়, আর ক্ষমতায় গেলে ভারতের সাথে আপোষ করেন। এটিই তাদের নীতি।

২০১২ সালে রামু বৌদ্ধ বিহারে হামলার জন্য জামায়াত বিএনপিকে দায়ী করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রামুতে বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা কারা করেছে এটা এখন প্রমাণিত। বিএনপি জামায়াতের হাতে মসজিদ, মন্দির ও গীর্জা কিছুই নিরাপদ নয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন হয়। ভিক্ষাবৃত্তিকে অসম্মানকর মাধ্যম উল্লেখ করে বাংলাদেশকে ভিক্ষুক মুক্ত করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।

নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ উন্নয়নের দল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে উন্নয়ন হয়। নৌকা মার্কাটি জনগণের মার্কা। তাই যতগুলো নির্বাচন আসবে, সব নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, গৃহায়ন ও গণর্পূতমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছে মেরিন ড্রাইভ হয়ে ইনানী পৌঁছেন। এ সময় সেনাবাহিনীর চৌকস দলের সালাম গ্রহণ করেন। আদিবাসী পরিবেশিত নৃত্যে স্বাগত জানানো হয় শেখ হাসিনাকে। পরে সেখানেই ২৮ কিলোমিটার পয়েন্টে ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।