২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৭ পৌষ, ১৪৩২ | ১ রজব, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  সিবিআইউ’র আইন বিভাগের ১৭তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  ক্ষোভ থেকে হত্যার ছক আঁকেন অপরাধী চক্র   ●  রামুর ধোয়াপালংয়ে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী অপহরণ : ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল লুট   ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান

কক্সবাজারের ঈদ বাজারে ক্রেতা বেশে গোয়েন্দা নজরদারি

DB Policeপ্রতি বছর ঈদ আসলেই বেড়ে যায় পকেটমার,অজ্ঞান পার্টি ও ছিনতাইকারীদের অপতৎপরতা। এবার এসব পকেটমার, অজ্ঞানপার্টির সদস্য আর ছিনতাইকারীদের চিহ্নিত করতে ক্রেতা বেশে গোয়েন্দা নজরদারি করতে কক্সবাজার শহরে মাঠে নেমেছে গোয়েন্দা পুলিশের কয়েকটি বিশেষ টিম। তারা প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দুই সিফটে টহল অব্যাহত রেখেছে।
কেনাকাটার সময় ভিড়ের সুযোগে নারী,পুরুষের পকেট বা ব্যাগ থেকে টাকা মোবাইল বা মূল্যবান সামগ্রী হাতিয়ে নিয়ে যায় পকেটমার ও চোর চক্রের সদস্যরা। এছাড়া কখনো জিনিসপত্র কেনার নামে দোকান থেকেও হাতিয়ে নেয় মূল্যবান সামগ্রী।
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কামরুল হাসান বলেন, ঈদ বাজারে সাদা পোশাকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পুরুষ সদস্যরাও যেমন গোয়েন্দা নজরদারি করছেন তেমনি পুরুষ ও নারী পুলিশ সদস্যরাও ক্রেতাবেশে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন অভিজাত মার্কেটে মার্কেটে ঘুরছেন। বিশেষ করে শহরের নিউমার্কেট এলাকা, বড়বাজার, পানবাজার এলাকায় বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছেন।
গোয়েন্দা সূত্র আরও জানায়, ঈদের কেনাকাটা বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে পকেটমার, চোর ও অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের তৎপরতা। এ সব চক্রে যেমন পুরুষ সদস্য রয়েছে তেমনি রয়েছে নারী সদস্যও।
সূত্রে আরো জানা যায়, সাধারণভাবে এদের দেখে বোঝার কোন উপায় নেই তারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। হাতে শপিং ব্যাগ নিয়ে কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকার ভান করে তারা। এছাড়া কখনো একা একা আবার কখনো দলবদ্ধভাবে অপকর্ম সংঘটন করে তারা।
গোয়েন্দা শাখার ওই কর্মকর্তা আরো জানান, চক্রের নারী সদস্যরা মূলত টার্গেট করে ভিড়ের মধ্যে কেনাকাটা করতে আসা নারীদের। বিশেষ করে যেসব নারীর কোলে বা সঙ্গে সন্তান থাকে তাদের পিছু নেয় এরা। সন্তান সামলানোর সময় কাঁধের ব্যাগ একটু আলগা হয়ে এলেই চেইন খুলে নগদ টাকা কিংবা মোবাইল ফোন নিয়ে সটকে পড়ে তারা। এদের ধরতেই নজরদারি চলছে। ইতোমধ্যে ঈদবাজারে কোন ধরনের অপরাধ সংগঠিত হয়নি বলে জানা তিনি।
শহরের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ঈদ বাজারে অপরাধ ঠেকাতে সাদা পোষাকে গোয়েন্দা পুলিশের তৎপরতার কারণে পকেটমার,অজ্ঞান পার্টি ও ছিনতাইকারীদের অপতৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতারা পছন্দের পণ্য কিনে স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফিরতে পারায় আমরাও খুশি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।