উখিয়া কলেজের ভোগদখলীয় ৮০ শতক জায়গার জবর দখলের ঘটনা নিয়ে কলেজ অধ্যক্ষ এম. ফজলুল করিম প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বলেন, উক্ত জমিটি কলেজ ও কলেজ মসজিদের মধ্যখানে হওয়ায় স্থানীয় বনবিভাগকে অবহিত করা হলে বনবিভাগ উক্ত জমিটি কলেজ কর্তৃপক্ষের নিকট দখল বুঝিয়ে দেন। ১৯৯৯ সালে তৎকালীন রেঞ্জ কর্মকর্তা ডিএন অধিকারী ও বিট কর্মকর্তা আব্দুর রউফ জায়গাটির মধ্যখানে একটি ড্রেন করে কলেজের জায়গাটি চিহ্নিত করে দেন। উক্ত জায়গাটি স্থানীয় আলি চাঁন মেম্বার তার লীজকৃত জমি দাবী করলেও বনবিভাগ তার দাবীটি অযৌক্তিক আখ্যায়িত করে তার প্রস্তাব নাকচ করে দেন। অধ্যক্ষ এম. ফজলুল করিম আরো জানান, এমতাবস্থায় গত বৃহস্পতিবার থেকে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মুজিবুল হক আজাদ উক্ত জায়গাটির চারদিকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ করে যাচ্ছে। তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মুজিবুল হক আজাদ সাংবাদিকদের জানান, উক্ত জায়গাটি সে আলী চাঁন মেম্বার থেকে ক্রয় করে সীমানা প্রাচীর দেওয়ার জন্য নির্মাণ সামগ্রী মজুদ করা হয়েছে। তিনি এও জানান, উক্ত জায়গাটি আলী চাঁন মেম্বার ৯৯ বছরের জন্য বনবিভাগ থেকে লিজ প্রাপ্ত হয়েছেন। যুবলীগ নেতা মাসুদ আমীন সাকিল জানান, তাদের ভোগদখলীয় ৮০ শতক জমি থেকে ইতিপূর্বে প্রায় ৩০ টি মাদার ট্রি লুটপাটের অভিযোগে কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থল তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় অধ্যক্ষের নিকট থেকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। এতে প্রমাণিত হয় ওই জায়গাটি কলেজের নয়। বর্তমানে ওই জায়গার উপর আমাদের সৃজিত প্রায় ৫শতাধিক ফলজ ও বনজ গাছ রয়েছে। যা সংরক্ষণের জন্য সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করলে কলেজ অধ্যক্ষ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালায়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।