১৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ২৮ কার্তিক, ১৪৩১ | ১০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক চোরা চালানের গডফাদার ফরিদ ফের সক্রিয়   ●  কক্সবাজার সমবায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে কবির, আফসেল ও রাশেলকে প্রতিনিধি মনোনয়ন।

উখিয়ায় সহস্রাধিক ছাত্রছাত্রী উপবৃত্তি পাচ্ছে না

shomoy
উখিয়ার ৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় সহস্রাধিক ছাত্রছাত্রী উপবৃত্তির টাকা পাচ্ছে না ২ বছর ধরে। হতদরিদ্র এলাকা অধ্যুষিত ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপবৃত্তির টাকা বরাদ্ধের জন্য সংশি¬ষ্ট প্রধান শিক্ষক স্বাক্ষরিত আবেদন প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করা সত্ত্বেও কোন কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষকেরা বলছেন, অন্য ৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা উপবৃত্তির টাকা পেলেও তাদের স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা উপবৃত্তি বঞ্চিত হওয়ার ফলে ছাত্রছাত্রীরা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে। এতে পড়ালেখা ব্যাহত হওয়ার আশংকা রয়েছে। বিদ্যালয়গুলো হচ্ছে নুরুল ইসলাম চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জালিয়াপালং আব্দুর রহমান বদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হলদিয়াপালং ছালে বুলবুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাঙ্গরঘোনা অরবিন্দু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
জানা গেছে, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ মূলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যালয় বিহীত গ্রামে ১৫শ’ প্রাথমিক বিদ্যালয় নিমার্ণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৪ সালে ওই ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। হাঙ্গরঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাস্টার মোজাম্মেল হক আজাদ জানান, কোমলমতি শিশুরা উপবৃত্তির টাকা পেলে পড়ালেখার প্রতি উৎসাহিত হয়। এতে স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যায় এবং ঝড়ে পড়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কমে যায়। তিনি বলেন, তার স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা উপবৃত্তি বঞ্চিত হওয়ার কারণে কঁচিকাঁচা ছাত্রছাত্রীরা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে। নুরুল ইসলাম চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ আলী জানান, উপবৃত্তির টাকা বরাদ্ধের জন্য প্রকল্প পরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শুরু করে প্রশাসনের বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ে আবেদন নিবেদন করেও কোন কাজ হচ্ছে না। এব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাফ্ফর আহমদ জানান, ওই চারটি স্কুলে উপবৃত্তি পাওয়ার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে প্রশাসনিক জটিলতার কারণে একটু ধীর গতিতে এগোচ্ছে। এতে বিচলিত হওয়ার কোন কারণ নেই।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।