৩১ মার্চ, ২০২৩ | ১৭ চৈত্র, ১৪২৯ | ৮ রমজান, ১৪৪৪


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে উচ্ছেদ অভিযানে অবৈধ পাকা স্থাপনা ধ্বংস করলো বনবিভাগ; ৫০ একর বনভূমি দখলমুক্ত   ●  সাগরে ১০টি বস্তায় মিলল ৭ লাখ ইয়াবা   ●  উখিয়ায় কলেজ ছাত্রকে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪   ●  মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শহীদদের প্রতি কক্সবাজার জেলা কারাগারের বিনম্র শ্রদ্ধা   ●  উখিয়ায় মাটি ভর্তি ডাম্পার আটক   ●  কক্সবাজারে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত   ●  স্বাধীনতা দিবসে মরিচ্যা উচ্চ বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি উন্মোচন   ●  পানেরছড়ায় পাহাড় ও গাছ কাটার হিড়িক, নিরব বন বিভাগ   ●  চকরিয়ায় গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় এমপি জাফর আলম   ●  চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আ.লীগের ইফতার মাহফিল-আলোচনা সভায় এমপি জাফর

উখিয়ার পালং উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্র-অভিভাবক লাঞ্চিত ও হামলার ঘটনায় তদন্ত শুরু

উখিয়ার পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বির্তকিত প্রধান শিক্ষক মোঃ নূরুল হকের বিরুদ্ধে ছাত্রের সাথে অনৈতিক আচরণ এবং ছাত্রের অভিভাবককে মারধর ও নাজেহালের ঘটনার অভিযোগে অবশেষে নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রধান শিক্ষক নূরুল হক পালং উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের শেষ নেই। তার প্ররোচনায় বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি, ছাত্র-ছাত্রীর সাথে অসৎ আচরণ, অভিভাবকদের মারধর সহ শিক্ষার পরিবেশ বিনিষ্টের এহেন অভিযোগ অহরহ। ইতিপূর্বে ছাত্র ছাত্রী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে। এছাড়া পূর্বেকার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি বির্তকিত কর্মকান্ড ও ছাত্র বলৎকারে অভিযোগ সহ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ওই প্রধান শিক্ষক নূরুল হকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা রুজু করেন।
গত ৯ এপ্রিল বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী কামারিয়ার বিল গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার ইসলামকে ১০ম শ্রেণীতে ভর্তির বিষয় নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে গেলে ছাত্রের অভিভাবক ও নানা রশিদ আহমদকে প্রধান শিক্ষক নাজেহাল করে এবং মারধর করে অফিস থেকে বের করে দেয়। ঘটনার পর দিন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা রাস্তায় দাঁিড়য়ে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে প্রধান শিক্ষক নূরুল হকের অপসারণ ও শাস্তির দাবী করেন। প্রধান শিক্ষক কর্তৃক অভিভাবককে হামলার ঘটনায় ছাত্রের নানা রশিদ আহমদ বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উখিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনাটি সুষ্ট তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিলে¬াল বিশ্বাস মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নিদের্শ প্রদান করেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য গত ১১ মে পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রায়হানুল ইসলাম মিয়া।
অভিযোগ উঠেছে, সরকারী নিয়মনীতি ও বিধান উপেক্ষা করে দায়সারাভাবে তদন্ত কার্যক্রম চালায়। শিক্ষা কর্মকর্তা অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পরও বাদীর পক্ষের কোন বক্তব্য লিখিত ভাবে লিপিবদ্ধ না করে যেনতেন ভাবে লোক দেখানো সাক্ষ্য প্রমাণ নিয়ে উল্টো বাদীর পক্ষকে প্রধান শিক্ষকের সাথে আপোষ মিমাংসা করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। ছাত্রের অভিভাবক রশিদ আহমদ বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে নৈতিক সুবিধা নিয়ে তদন্ত কার্যক্রমকে ব্যাহত করার পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকের অন্যায় কর্মকান্ডকে উৎসাহিত করে বাদীকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রায়হানুল ইসলাম মিয়ার মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।