৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজারে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ৮ ডাকাত আটক   ●  হলফনামা বিশ্লেষণ: ৫ বছরে এমপি আশেকের সম্পদ বেড়েছে ২ কোটি টাকার কাছা-কাছি   ●  ২১ দিন বন্ধের পর মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে এল পন্যবাহি চারটি ট্রলার   ●  মহেশখালীতে সাবেক ইউপি সদস্যেকে পিটিয়ে হত্যা   ●  ভ্রাতৃঘাতি দেশপ্রেমহীন রোহিঙ্গা আরসা-আরএসও প্রসঙ্গে; এডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর   ●  কক্সবাজারে রেল : শুরুতেই ইজিবাইক চালকদের দৌরাত্ম্য ২০ টাকা ভাড়া রাতা-রাতি ৫০ টাকা!   ●  মাদক কারবারিদের হুমকির আতঙ্কে ইউপি সদস্য কামালের সংবাদ সম্মেলন   ●  সালাহউদ্দিন সিআইপি ও এমপি জাফরকে আদালতে তলব   ●  কক্সবাজার-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন এমপি জাফর আলম   ●  ‘দিনে আত্মগোপনে, রাতে অস্ত্রের মহড়া বালু-পাহাড় খেকো তাহেরের!

ঈদগাঁওর হাসপাতালে ঔষুধ সংকট: রোগীরা বিপাকে

oshod
টানা হরতাল-অবরোধসহ নানা কারণে সরবরাহ না থাকায় ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে কক্সবাজার সদর উপজেলার সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে। হর হামেশা  ওষুধ না পেয়ে রোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। গত শনিবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা পোকখালী  এলাকার সাজেদা খাতুন জানান, ঈদগাঁও সরকারী হাসপাতাল থেকে তাঁকে ওষুধ দেওয়া হয়নি। একই অভিযোগ ইসলামপুরের গিয়াস উদ্দিনের। তিনি বলেন আগে হাসপাতাল থেকে যতটুকু ওষুধ পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন ওষুধ বাইরে থেকে কিনে নিতে।
কক্সবাজার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যালয় সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সদরে একটি সদর হাসপাতাল, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেশ কয়েকটি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এগুলোতে বছরে প্রায় লাখ লাখ রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকে। হাসপাতালগুলোতে ভর্তি থাকে প্রায় কয়েক হাজার রোগী। রোগীদের জন্য বছরে প্রায় এক কোটি টাকার ওষুধ সরবরাহ করা হয় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে প্যারাসিটামল, অ্যান্টাসিড, মেট্রোনিডাজল, পেনিসিলিন-ভি, ওমিপ্রাজল, টেট্রাসাইক্লিন।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া ওষুধ (এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড) কারখানা থেকে আনা হয় প্রতিবছর। পরে তাঁরা রোগীদের মধ্যে ওষুধ বিতরণ করেন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা আরও বলেন হরতাল আর অবরোধের মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে ঔষুধের গাড়ি আসছেনা। যার কারণে চলতি মাসের শুরু থেকে ওষুধের সংকট শুরু হয়েছে। তবে দ্রুত ওষুধ আনা যাবে বলে তিনি  আশা প্রকাশ করেন।
ঈদগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গুদামরক্ষক বলেন, সংকট শুরু হওয়ায় তাঁরা চাহিদার অর্ধেক ওষুধ রোগীদের মধ্যে সরবরাহ করছেন। প্যারাসিটামল, মেট্রোনিডাজলসহ কয়েকটি ওষুধ শেষ হয়ে গেছে। অনেক রোগী ওষুধ কম পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, এটাকে ঔষুধ সংকট বলা যাবে না। হাসপাতালগুলোতে কিছু ওষুধ না থাকায় তাঁরা সেগুলো দিতে পারছেন না।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।