১৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ২৮ কার্তিক, ১৪৩১ | ১০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক চোরা চালানের গডফাদার ফরিদ ফের সক্রিয়   ●  কক্সবাজার সমবায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে কবির, আফসেল ও রাশেলকে প্রতিনিধি মনোনয়ন।

ঈদগাঁওকে উপজেলায় রূপান্তর দাবী জাতীয় সংসদে উপস্থাপন

Saimum Sarwar Kamol
কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল ঈদগাঁওবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ঈদগাঁওকে উপজেলায় রূপান্তরের দাবী উপস্থাপন করলেন জাতীয় সংসদে। এজন্য বৃহত্তর ঈদগাঁও’র লোকজন মহাখুশিতে উৎফুল্ল হয়ে সাংসদকে অভিনন্দন জানান। উল্লেখ্য, দেশের চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী সরকার আসে সরকার যায়। কিন্তু দীর্ঘ সাড়ে তিন যুগ পরও ঈদগাঁওবাসী উপজেলার বাস্তবায়ন ঘোষণার স্বপ্ন যেন স্বপ্নই রয়ে গেল। অন্যদিকে, স্বাধীনতার বহুবছর অতিবাহিত হল। দিনের পর মাস, মাসের পর বছর এভাবে গড়াচ্ছে সময়। আদি পুরুষদের প্রবাদ বচন ধীরে ধীরে সত্য রুপে প্রমাণিত হচ্ছে। অ-পথ-পথ, অ-ঘাট-ঘাট, অ-মানুষ-মানুষ হচ্ছে। শেওলা ভাসা জলাশয়ে স্বগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে নয়নাবিরাম দালান ঘর। দূর্গম পাহাড়ী ঢল বেয়ে যৌবনের ঢেউ নিয়ে দূর থেকে দূরে চলে গেছে কাল পিচ ঢালা রাস্তা। ফলে উন্নত হয়েছে যোগাযোগ ও যাতায়াত ব্যবস্থা। আবার পাহাড়ী ঢলে ভেস্তে যাওয়া অনেক অযোগ্য ইউনিয়ন যোগ্যতার সন্ধান পেয়ে উপজেলা কিংবা পৌরসভায় উন্নতি হয়েছে। সেসব এলাকার নতুন নতুন স্থাপত্যে টিকরে পড়েছে চোঁখ বাধানো সৌন্দয্যের। অথচ এতকিছুর মাঝে ও চির অবজ্ঞায় পতিত আছে, ঈদগাঁও নামক অবহেলীত জনপদটি। বলতে গেলে পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলার দ্বিতীয় বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত বৃহত্তর ঈদগাঁও বাজার। এই বাজারটি একটি বহুমুখী বাণিজ্য কেন্দ্র। এই ঈদগাঁও বাজারে পশ্চিমের মহেশখালীর লোকজন চৌফলদন্ডী হয়ে প্রতিদিন না হলেও অন্তত প্রতি শনি-মঙ্গলবার তথা (বাজার বার বা হাট বার) নানান প্রকার পন্য সামগ্রী ক্রয়/বিক্রয়ের লক্ষ্যে ছুটে আসে। গজালিয়,বাইশারী, ঈদগড়, ঈদগাঁও, এবং নাইক্ষ্যংছড়ির লোকজনও বিভিন্ন পণ্য ক্রয়/বিক্রয়ের জন্য এই বাজারে অন্তত ২ বার আসে। উত্তরে ডুলহাজারা, খুটাখালী, ইসলামপুর ও দক্ষিণে রামু, রশিদনগর, জোয়ারিয়ানালার লোকজনকেও নিয়মিত বাজারে যাতায়াত করতে দেখা যায়। আর বৃহত্তর এলাকার আশপাশের লোকজন তো প্রতিদিন লেগেই আছে। সব মিলিয়ে হিসাব করলে দেখা যায় যে, সপ্তাহে দুইদিন ঈদগাঁও বাজারে কম পক্ষে তিন লাখেরও বেশি লোক নিয়মিত ভাবে ব্যবসার লক্ষে যাতায়াত করে থাকে। যার কারণে গোটা দক্ষিণ চট্টগ্রামের এই ঈদগাঁও বাজারটি পরিণত হয়েছে একটি জনবহুল ও ব্যস্ততম বাজার হিসেবে। অথচ এই বাজার থেকে লক্ষ-লক্ষ টাকা মুনাফা অর্জন করেছে সরকার। কিন্তু বাজারের চিত্র ধারণ করলে বুঝা যায় যে, এটা যে বর্তমান উন্নত ব্যবস্থার চিন্ত-ভাবনা থেকে কতটুকু পিছিয়ে আছে। তা অতি সহজে অনুমান করা যায়। এমন নয় যে, এই ঈদগাঁও বাজারটি বাংলাদেশের একটি বিচ্ছিন্ন অঞ্চল। ঈদগাঁওতে অথচ স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে স্থানীয় নের্তৃবৃন্দ ছাড়াও জাতীয় নের্তৃবৃন্দের পায়ের চিহ্ন লেগেছে। একটি সতন্ত্র উপজেলা হওয়ার সকল যোগ্যতা বিদ্ধমান থাকলেও নেতার আশার বাণী ও দর্শকদের হাততালিতে সীমাবদ্ধ থেকেছে ঈদগাঁও উপজেলা বাস্তবায়ন। ঈর্ষা লাগারই কথা, এমন কতগুলো ইউনিয়নকে উপজেলা বা পৌরসভায় রূপান্তিত করা হয়েছে। যা কোন দিক দিয়েই ঈদগাঁওয়ের ছেয়ে বেশি নয়। স্বাধীন হয়েছে কিন্তু সেই কাঙ্খিত উপজেলা স্বাধীনের এখনো সেই স্বাদ খুজে পাইনি ঈদগাঁওবাসী। সত্যিকার অর্থে ঈদগাঁওবাসীর সেই লালিত স্বপ্ন কবে পূর্ণ হবে এমন প্রশ্নে ঘুরপাক খাচ্ছে সাড়ে চারলক্ষাধিক জনগোষ্ঠী মাঝে। বার বার ঈদগাঁওবাসীর ভাগ্যে লাল ফিতায় বন্দী হয়ে ঝুলিয়ে আছে দীর্ঘসময় ধরে। এদিকে জাতীয় সংসদে ঈদগাঁওকে উপজেলায় রূপান্তরের বিষয়ে সাইমুম সরওয়ার কমলের বক্তব্যে ঈদগাঁওবাসী আশার আলো দেখছেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।