৩ জুলাই, ২০২৫ | ১৯ আষাঢ়, ১৪৩২ | ৭ মহর্‌রম, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  উৎসবমুখর পরিবেশে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র নির্বাচন সম্পন্ন   ●  যুক্তরাষ্ট্রের জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন চৌধুরী কন্যা স্বর্ণা   ●  ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা   ●  শিক্ষার ফেরিওয়ালা মরহুম জালাল আহমদ চৌধুরীর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  বিয়ের তিন মাসেই সড়কে প্রাণ গেল হলদিয়ার জুনাইদের   ●  চুনোপুঁটি ধরলেও অধরা রাঘববোয়ালরা   ●  তরুণ সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ সোহরাব হোসেন ডলার: এক প্রতিশ্রুতিশীল পথচলা

মাদক বিরোধী অভিযানে ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা খুন

আরসা প্রধান আতাউল্লাহসহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু কোনারপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদকবিরোধী অভিযানে ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা খুনের ঘটনায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনীসহ সংগঠনটির ৪৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
খুনের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করার পর সোমবার বান্দরবানের মূখ্য বিচারিক হাকিমের আদালত এই আদেশ জারি করেন।
এর আগে দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ১৫ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, ‘তদন্ত শেষে ৪৯ জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
এরআগে রোহিঙ্গা নেতা মুহিব্বুল্লাহ হত্যা মামলায় আরসা প্রধান আতাউল্লাহর নাম আলোনায় আসলেও শেষ পর্যন্ত পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তাকে রাখা হয়নি। যদিও আলোচনায় ছিলো আতাউল্লাহর নেতৃত্বে মুহিব্বুল্লাহকে হত্যা করা হয়েছিলো।
এই প্রথম কোন আলোচিত মামলায় আরসা প্রধান আতাউল্লাহকে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে আসামী হিসেবে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, সীমান্তের শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘাঁটি গড়ে তুলেছিলো আরসা। সেখানে সুড়ঙ্গ তৈরী করে অস্ত্র তৈরীর কারখানা ও গোপন আস্তানা করেছিলো সংগঠনটি। শূণ্যরেখার এই আস্তানায় বসে সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং মাদক কারবার পরিচালনা করতেন আতাউল্লাহ। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছিলো গোল্ডেন আরাকান নামে অত্যাধুনিক মানের একটি রেস্টুরেন্টও।
এই আস্তানায় মাদক মজুদের খবর পেয়ে গোয়েন্দা সংস্থা ও র‍্যাব যৌথভাবে অভিযান চালায় ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর। অভিযানে গোয়েন্দা সংস্থার এক শীর্ষ কর্মকর্তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। অভিযোগ উঠে আরসা প্রধান আতাউল্লাহ ও খালেদের নেতৃত্বে হত্যা করা হয়েছিলো তাকে।
এদিকে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি আরসার ঘাঁটিতে হামলা চালায় আরএসও। এসময় পুরো রোহিঙ্গা ক্যাম্প পুড়িয়ে দেয়া হয়। এক পর্যায়ে ঘাঁটি ছেড়ে পালিয়ে যায় আরসার সন্ত্রাসীরা।
জানা গেছে, গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা খুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ১৩ জনকে আটক করেছে। বাকিদেরও আটকে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সংস্থা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।