২৭ জুলাই, ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ | ২০ মহর্‌রম, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  কলেজছাত্র মুরাদ হত্যা মামলার আসামি রহিম কারাগারে   ●  আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির প্রতিবাদে কক্সবাজার ছাত্রলীগের সমাবেশ   ●  স্বেচ্ছাসেবী কাজে বিশেষ অবদানের জন্য হাসিঘর ফাউন্ডেশনকে সম্মাননা প্রদান    ●  চতুর্থবারের মতো শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট নির্বাচিত হলেন রোবায়েত   ●  সেন্টমার্টিনে ২ বিজিপি সদস্যসহ ৩৩ রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ২   ●  উখিয়ায় ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি; কাঁচা ঘরবাড়ি, গ্রামীণ সড়ক লন্ডভন্ড   ●  উখিয়ায় কৃষি বিভাগের প্রণোদনা পেলেন ১৮০০ কৃষক /কৃষাণী   ●  আরসার জোন ও কিলিংগ্রুপ কমান্ডার আটক ৩   ●  পটিয়া প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটি গঠিত

অবশেষে চালু হচ্ছে কক্সবাজার-ঢাকা বিমানের ফ্লাইট

imgDir/b12.jpg

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে কক্সবাজার-ঢাকা রুটে চালু হচ্ছে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট।খবরটি কক্সবাজারবাসির জন্য সুখবর হলেও ভাড়া নিয়ে অসন্তোষই থেকে গেলো সাধারন যাত্রীদের মনে। তাছাড়া যেই বিমানটি আগে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচল করতো তা এখন বন্ধ ঘোষনা করছে কর্তৃপক্ষ। আর৭৪ সিটের বিমানটি এই রুটে সপ্তাহে মঙ্গলবার ছাড়া বাকি ৬দিন চলাচল করবে। ক্লাস অনুযায়ি ভাড়া নির্ধারন করা হয়েছে ইকোনোমি-১ এর ছয়হাজার পাঁচশ, ইকোনোমি-২ এর ছয় হাজার ও ইকোনোমি-৩ এর ভাড়া পাঁচ হাজার পাঁচশত টাকা।তবে সর্বনিম্ম ভাড়া বেসরকারি বিমানের চেয়ে বেশি। আর সর্বোচ্চ ভাড়া বেসরকারি বিমানের চেয়ে কম বলে জানা গেছে। সরকারি বিমানের ভাড়া বেশি হওয়ায় স্বল্প আয়ের মানুষদের ইচ্ছা থাকলেও সাধ্যদের বাহিরে চলে গেছে ভাড়া। তাই ভাড়া কমানো ও চট্টগ্রাম রুটে বিমান চালুর দাবিটি এখন এখানকার সচেতন নাগরিকের অধিকারে পরিনত হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃটিশ আমলে এখানে বিমানবন্দর স্থাপন হয় । আর স্বাধীনতার পর‘বাংলাদেশ বিমান এয়ার লাইন্স’ এই রুটে যাত্রা শুরু করে আকাশ পথে। প্রথমে ঢাকা টু কক্সবাজার রুটে সরকারীভাবে একটি বিমান নিয়মিত উঠা নামা করে এই বিমান বন্দরে। এরপর কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প বিকাশের সাথে সাথে আরো একটি বিমান আকাশ পথে যোগ হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে। দীর্ঘদিন পর্যন্ত বাংলাদেশ বিমানের দুটি উড়োজাহাজ কক্সবাজারে যাওয়া আসা করলেও তা তিন বছর বন্ধ থাকার পর পুনরায় চালু হতে হচ্ছে চলতি বছরের ৬ এপ্রিল থেকে। তাছাড়া আগে বাংলাদেশ বিমান কক্সবাজার -চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করলে ও কি কারনে তা বর্তমানে বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে তা কক্সবাজারবাসির কাছে অজানাই রয়ে গেলে।

এদিকে,কক্সবাজারের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ সমাজ সেবক এরুটের বিমানের নিয়মিত যাত্রী মো.মোহিবুল্লাহ বলেন, বেসরকারি বিমানের চেয়ে সরকারি বিমানে ভাড়া বেশি নির্ধারন করাটা খুবই দুঃখজনক। অথচ সরকারি অন্যান্য পরিবহনে বেসরকারি পরিবহনের চেয়ে ভাড়া কম। যেহেতু কক্সবাজার একটি পর্যটন এরিয়া, সুতরাং পর্যটকদের কথা বিবেচনা করে জাতীয় বিমানের ভাড়া সর্বোচ্চ চার হাজার টাকা এবং ক্লাস বেধে সর্বনিম্ম ভাড়া তিন হাজার টাকা করা দরকার।এই বিমানের ভাড়া কমানো হলে বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলোও তাদের ভাড়া কমিয়ে আনতে বাধ্য হবে বলে তিনি ধারনা করছেন।পাশাপাশি ভাড়া কমানের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করছেন তিনি।

অপরদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, বিমানের নিজস্ব জায়গাটি স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে চলে গেছে। অথচ সব সেক্টরে সরকারি ভাবে তাদের নিজম্ব ভবন রয়েছে। অজানা কারনে বিমানের এই জায়গাটি উদ্ধারের কোন পরিকল্পনা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। অতিসত্ত্বর বিমানের জায়গাটি উদ্ধার করা দরকার।

এব্যাপারে কথা হলে কক্সবাজার অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফরিদ আলী এ রুটে বিমান চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,বিমান চালুর খবরটি সুখবর হলেও অফিসে ভাল কোন আসবাবপত্র না থাকায় যাত্রীদের বসার সমস্যা হবে। নতুন আসবাবপত্রের জন্য এখনো কোন বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। অফিসের জন্য বরাদ্দকৃত বেদখল জায়গাটি উদ্ধার করে সেখানে অফিস নির্মাণ করলে সরকারের খরচ কমে আসবে। এছাড়া সরকারের প্রতিটি সেক্টরে নিজস্ব অফিস ও কর্মকর্তাদের জন্য কোর্য়াটার থাকে কিন্তু কক্সবাজারে বাংলাদেশ বিমানের স্টাফদের জন্য কোন কোর্য়াটার না থাকায় বাসস্থান নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। তিনি জায়গাটি উদ্ধার সেখানে অফিস ও কোর্য়াটার নির্মাণ করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।