২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ৯ আশ্বিন, ১৪৩০ | ৮ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্য সেবার অবলম্বন পল্লী চিকিৎসক’-জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান   ●  ‘প্রয়োজনে কালো গাউন ছেড়ে রোড লেভেলে যেতে হবে’   ●  তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ করেছেন শেখ হাসিনা: কউক চেয়ারম্যান   ●  এরশাদ সরকার আমল ছিল দেশের স্বর্ণযুগ-সাবেক সাংসদ ইলিয়াছ   ●  পরিবেশ রক্ষায় শেখ হাসিনার উদ্যোগ বিশ্বে প্রশংসনীয় : মোঃ নজিবুল ইসলাম   ●  রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে পাইলট-প্রকল্প মিয়ানমার-চীনের শুভঙ্করীর ফাঁকি!   ●  কক্সবাজারে ‘জয় কারাতে একাডেমী’ ‘অদ্রিতা পালদের বেড়েছে আত্মবিশ্বাস ও শক্তি’   ●  রামুতে বনবিভাগের অভিযানে পানির পাম্প জব্দ   ●  সীমান্তে গরু চোরাকারবারীদের তালিকা করে আইনের আওতায় আনা হবে-ডিসি মুহম্মদ শাহীন ইমরান   ●  ১১ জেলার এসপিদের নিয়ে কক্সবাজারে গুরুত্ববহ সভা করলেন ডিআইজি নুরেআলম মিনা

অপহরণ নাটকের দীর্ঘ সাড়ে ৩ বছর পর গাজিপুর থেকে উদ্ধার ধলঘাটার ফারুক ওসমান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ টাকা আত্মসাৎ করে উল্টো অপহরণ নাটকের পর ভূঁয়া নাম-পরিচয় দিয়ে বিদেশ পাড়ি দিয়েও শেষ রক্ষা পাননি মহেশখালীর ধলঘাটার ফারুক ওসমান প্রকাশ কালু। দীর্ঘ সাড়ে ৩ বছর পর ২০ মে গাজিপুর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এর জালে আটক হন এই প্রতারক।

সূত্রে জানা গেছে, মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়নের উত্তর সুতরিয়া গ্রামের মো. হোসাইন প্রকাশ কফিল্লার বাপের ছেলে ফারুক ওসমান প্রকাশ কালু বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতারণা করেন। এমনই একজন একই এলাকার মৃত হাজি শের উল্লাহ সিকদারের ছেলে মো. শাহাব উদ্দিন। এই শাহাব উদ্দিন হাওলাতের টাকার জন্য বেশ কয়েকবার সামাজিকভাবে চেষ্টা করেও টাকা ফেরত পাননি। উল্টো প্রতারক ফারুক ওসমান প্রকাশ কালুর বড় ভাই মুনির প্রকাশ সোনাইয়া বাদি হয়ে শাহাব উদ্দিনসহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেন। এরপর নিজের নাম-পরিচয় গোপন করে দীর্ঘ অনেক বছর আগে মারা যাওয়া বোন জামাই কামাল এর নামে ভূঁয়া আইডি কার্ড ও পাসপোর্ট বানিয়ে ওমানে পাড়ি জমান। সেখান থেকে দীর্ঘ ২ বছর পর এসেও শেষ রক্ষা হয়নি এই প্রতারকের। ২০১৫ সালের ২৫ নভেম্বর লামা থানায় দায়েরকৃত অপহরণ মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই আয়াতুল্লাহ দীর্ঘদিন চেষ্টার পর রাজধানী ঢাকার গাজিপুর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এর সহযোগিতায় পুলিশের জালে বন্দি করেন। সেখান থেকে উত্তরা থানায় হস্তান্তর করা হয় এবং পরে লামা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
ভূঁয়া অপহরণ মামলার আসামি শাহাব উদ্দিন জানান, এই প্রতারকের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে চেষ্টা করেও টাকা উদ্ধার করতে না পেরে পরে ৩টি মামলা করি। এরপর লামা থানা পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমে অপহরণ নাটক করা ফারুক ওসমান প্রকাশ কালুকে জীবিত উদ্ধার করে সত্য ঘটনা উন্মোচিত হয়েছে। এছাড়া এই প্রতারকের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় চুরি মামলা রয়েছে।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই আয়াতুল্লাহ মুঠোফোনে জানান, ভূঁয়া এই প্রতারককে বান্দরবানের লামা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে এনে সত্য ঘটনা বের করে মামলাটি এগিয়ে নেয়া হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।